শিশুদের জন্য শরীরের ওজনের ১০ শতাংশের বেশি ভারী স্কুলব্যাগ বহনে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে আইন করতে সরকারকে নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।
আইন প্রণীত না হওয়া পর্যন্ত শিশুদের ভারী স্কুলব্যাগ বহন করা যাবে না’ মর্মে এক মাসের মধ্যে সার্কুলার জারি করতে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালককে নির্দেশও দেয়া হয়েছে।
বুধবার বিচারপতি মইনুল ইসলাম চৌধুরী ও বিচারপতি আশীষ রঞ্জন দাসের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এই রায় দেন।
শিশুদের ভারী স্কুলব্যাগ বহনের বিষয়ে জারি করা রুলের শুনানি হয়। এতে আবেদনের পক্ষে ছিলেন ব্যারিস্টার মাসুদ হাসান দোলন। শুনানি শেষে রুল যথাযথ ঘোষণা করে হাইকোর্ট এ নির্দেশ দেন।
এর আগে ২০১৫ সালের ৯ আগস্ট বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমে শিশুদের ভারী স্কুলব্যাগ বহন নিয়ে প্রকাশিত প্রতিবেদন যুক্ত করে সুপ্রিম কোর্টের ৩ আইনজীবী একটি রিট আবেদন করেন।। এই তিন আইনজীবী হলেন- এসএম মাসুদ হোসেন দোলন, মো. জিয়াউল হক ও আনোয়ারুল করিম।
পরে ১১ আগস্ট প্রাথমিক বিদ্যালয়গামী শিশুদের শরীরের ওজনের ১০ শতাংশের বেশি ভারী স্কুলব্যাগ বহন নিষিদ্ধ ও প্রি-প্রাইমারি শিশুদের স্কুলব্যাগ বহন না করতে আইন প্রণয়নের কেন নির্দেশ দেয়া হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেন হাইকোর্ট।
আইন সচিব, শিক্ষা সচিব, প্রাথমিক শিক্ষা অধিদফতরের মহাপরিচালক ও জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যানকে দুই সপ্তাহের মধ্যে এ রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছিলো।
এ বিষয়ে রিটের পর অ্যাডভোকেট মাসুদ হোসেন দোলন সাংবাদিকদের বলেন, ভারতের মহারাষ্ট্র সরকার শিশুদের ওজনের ১০ শতাংশের বেশি ভারী স্কুলব্যাগ বহন না করার একটি নির্দেশনা জারি করেছে। আমাদের সরকারও যেন এ রকম একটি আইন করে, এজন্যই এ রিট আবেদন করা হয়। যুগান্তর
পাঠকের মতামত